
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর যমুনা রেল সেতু দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু
সিল্কসিটি পারাপারের মধ্য দিয়ে যমুনা রেল সেতুতে নবযুগের সূচনা
স্টাফ রিপোর্টার :
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর যমুনা রেল সেতু দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হলো।
রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা সিল্ক সিটি ট্রেনটি ১১ টা ২০ মিনিটে সেতুর সিরাজগঞ্জ প্রান্ত থেকে ১১ টা ৩০ মিনিটে টাঙ্গাইল প্রান্তে আসে। এছাড়াও বুড়িমারী এক্সপ্রেস ১১ টা ৩৮ মিনিটে টাঙ্গাইল প্রান্ত ত্যাগ করে। ইতিহাসের সাক্ষী হতে পেরে খুশি ট্রেনের যাত্রীরা। স্টেশন মাস্টার জানিয়েছে, ১২০ কিলোমিটার গতির ধারণ ক্ষমতা থাকলেও উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ৫০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলছে।
জাপান-বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীদের তত্বাবধানে যমুনা নদীর উপর নির্মিত দেশের দীর্ঘতম রেলওয়ে সেতুর অবকাঠামোগত নির্মাণ কাজ শেষে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল সম্পন্ন হয়েছে। সেতুটি চালুর পর উভয়প্রান্তের স্টেশনে রেল ক্রসিং এর সময় বাঁচানোর পাশাপাশি ব্যবসা বাণিজ্যেও আরও গতি ফিরবে। এজন্য যমুনা রেল সেতুতে প্রথম যাতায়াত করে খুশি রেল যাত্রীরা। তারা জানান, তাদের জীবনে আজকে স্মরণীয় দিন। এই সেতুতে প্রথমবারের মতো যাত্রীবাহী চলাচলকারী ট্রেনে উঠতে পেরে তারা আনন্দিত। এখন থেকে ট্রেনে যাতায়াত সময় কম লাগবে।
এ বিষয়ে ভুঞাপুর ইব্রাহিমাবাদ রেল স্টেশন মাস্টার মো. শাহীন মিয়া জানান, সেতুতে ১২০ কিলোমিটার গতির ধারণ ক্ষমতা থাকলেও উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আজকে ৫০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলছে। পরে অনুমতি পেলে গতি আরো বাড়ানো হবে।
আজকে নতুন যমুনা রেল সেতুর উপর দিয়ে ট্রেন চলাচলের ফলে উত্তরবঙ্গের সাথে ঢাকা রেল যোগাযোগের নতুন মাইল ফলক উন্মোচিত হলো বলে মনে করছেন রেল ও যাত্রী সংশ্লিষ্টরা।