২২শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বুধবার | ৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

মির্জাপুরে ঘর-বাড়ি দোকান পার্ট ভাঙার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সরকারী নিষেজ্ঞা দেয়া ও ১৪৪ ধারা জারিকৃত জমিতে নির্মিত ঘর-বাড়ি, দোকানপাট রাতের অন্ধকারে ভেঙে নিয়েছে দূর্বৃত্তরা। এর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার পরিজন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ভুক্তভোগী জিহক খান রুদ্র এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই মোমিননগন মৌজায় ৬৪ শতাংশ জমি দলিলমূলে প্রাপ্ত হয়ে, ওই জমিতে ঘর ও দোকান নির্মাণ করি। পরবর্তীতে ২৪ শতাংশ জমি ভুলে সরকারের নামে রের্কড হওয়ায় তা সংশোধনের জন্য ভূমি অফিসে মামলা দায়ের করি। ৬৪ শতাংশ জমির মধ্যে ৫ শতাংশ জমির উপর দিয়ে রাস্তার জন্য স্থানীয় প্রভাবশালী নূর মোহাম্মদের সাথে ১ বছরের জন্য চুক্তি হয়। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় তা আর নবায়ন করা হয়নি।
সেই আক্রোশে অভিযুক্ত নূর মোহাম্মদ ও তার দুইপুত্র আমাদেরকে মারপিট ও ক্ষয়ক্ষতি সাধনের অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকলে আমি বাদি হয়ে তাদের বিরুদ্ধে থানায় একটি জিডি করি। যার ভিডি নং-১২৯৩, তারিখ: ২৩-১১-২০২৪। এতে তারা আরো ক্ষীপ্ত হয়ে আমার দখলীয় ভূমিতে (সরকারের নামে বিএস রেকর্ডীয়) ২৪ শতাংশ ভূমি পরিমাপ করে আলাদা করার চেষ্টা করে। উক্ত বিষয়ে মির্জাপুর সিনিয়র সহঃ জজ আদালতে ৩৭৮/২০২৪ নং স্থায়ী নিষেধজ্ঞাগার মোকদ্দমা দায়ের করলে উক্ত মোকদ্দমায় স্থিতাবস্থা রাখার আদেশ জারি হয়। আদালত কর্তৃক স্থিতাবস্থা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিঃ আদালত, টাঙ্গাইল কর্তৃক শান্তি শৃংখলার আদেশ বহাল ও বলবৎ থাকা স্বত্ত্বেও অভিযুক্তরা নাম না জানা অনুমান আরো ২৫/৩০ জন লোকের সহায়তায় গত ১৬ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ১ টার দিকে ভেকু দিয়ে আমার একটি টিনের ঘর, ৭০ হাত লম্বা টিনের সীমানা বেড়া ও অপর একটি ঘরের বারান্দা (১৬ হাত লম্বা) ভেঙ্গে টিন, কাঠ, খুটিসহ দোকানের মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। এতে মোট ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতির শিকার হই। সি সি টিভির ফুটেজ থেকে চুরির সকল ঘটনা এবং চুরির মালামাল পরিবহনের গাড়ি দেখা যায়। সি সি টিভির ফুটেজ এর ভিডিও ব্যতিত একাধিক স্বাক্ষীও রয়েছে।
আমার ও আমার পরিবারের ওপর নূর মোহাম্মদ গংদের দ্বারা যে কোন সময় শারীরিক, মানসিক, আর্থিক ও সম্পত্তির ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, কমান্ডার র‌্যাব-১২, মির্জাপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক সহযোগিতা চাই। উল্লেখ থাকে যে, নূর মোহাম্মদ এবং তার পুত্রদ্বয় এখন এতটাই বেপোরোয়া হয়ে উঠেছে যে জমি দখল, সহ নানা কুকর্ম করে যাচ্ছে অবিরত। সৈয়দপুর এলাকাবাসী তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এবং সবাই এই সব বিষয়ে অবগত বলেও তিনি সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন।

|