২৭শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বুধবার | ১২ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

টাঙ্গাইলের সন্তোষে ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলনের আটষট্রি বছর আজ

স্টাফ রিপোর্টার :
ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলনের ৬৮বছর উদ্যাপন উপলক্ষে টাঙ্গাইলের সন্তোষ মাওলানা ভাসানীর দরবার হলে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১১টায় মাওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এসময় ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান খন্দকার নাজিম উদ্দিন এর সভাপতিত্বে ও সংগঠণের মহাসচিব মাহমুদুল হক সানুর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের রাষ্ট্র বিজ্ঞান এর বিভাগীও প্রধান (অবঃ) প্রফেসর ড. হাসানুজ্জামান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন সরকারী আশেক মাহমুদ কলেজ এর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আজাদ খান, মাওলানা ভাসানী কলেজ এর অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন ও বিএনপি নেতা এম এ হামিদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। আলোচনা সভায় বক্তারা মাওলানা ভাসানী ও ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলনের বিশেষত্ব তুলে ধরেন। বক্তারা বলেন,
১৯৫৭ সালের ৬, ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারী টাঙ্গাইলের কাগমারীতে মওলানা ভাসানী ৫৪টি তোরণের মধ্য দিয়ে ‘ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন’ উদ্বোধন করেন। কাগমারী সম্মলনে পশ্চিম পাকিস্তানিদের ‘ওয়ালাইকুম আসসালাম’ বলে পূর্ব পাকিস্তানের (বাংলাদেশ) স্বায়ত্তশাসনের দাবি উত্থাপন করেন তিনি। এ সম্মেলনে মওলানা ভাসানী স্বায়ত্তশাসনের যে দাবি জানিয়েছিলেন তারই ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে স্বাধীনতার আন্দোলন দানা বাঁধে। আজ (১০ ফেব্রুয়ারী) সেই ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলনের ৬৮ বছর।

কাগমারী সম্মেলনেই মওলানা ভাসানী সর্বপ্রথম বিশ্ববাসীর মনে পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষের স্বাধিকার আন্দোলন সম্পর্কে ধারণা দেন। কাগমারী সম্মেলনে মওলানা ভাসানীর দাবিকৃত স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনই পর্যায়ক্রমে স্বাধীনতা আন্দোলনে রূপ নেয় এবং স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট (হক-ভাসানী) তৎকালীন পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গণ মানুষের ব্যাপক সমর্থনে বিজয়ী হয়। মওলানা ভাসানী সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে এবং গণ মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে সংঘটিত আন্দোলনে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়েছেন। মাওলানা ভাসানী কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত তরেন নি। তিনি সব সময় ন্যায়ের পথে এবং স্রোতে বিপরিতে হেটেছেন, কখনো স্রোতে গা ভাসান নি। আমরা সব সময় মাওলানা ভাসানীকে অনুকরন ও অনুসরন করেই পথ চলতে চেষ্টা করবো।

|