২২শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বুধবার | ৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ব্যবসায়ী মুসলিম হত্যা ২ মাসেও গ্রেফতার হয়নি বেশির ভাগ আসামি, হত্যা মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে প্রকাশ্যে মুসলিম (৩৪) নামে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় ২ মাস পেরিয়ে গেলেও হত্যা মামলার কিলিং মিশনের প্রধান আসামিসহ এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে বেশির ভাগ আসামি। এদিকে মুসলিমের পরিবারের অভিযোগ- হত্যা মামলা উঠিয়ে নেওয়ার জন্য হুমকি ও নানা ধরণের চাপ প্রয়োগ করছেন আসামির পরিবারের লোকজন। ফলে ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন তারা।

এলাকাবাসী জানিয়েছেন, সহজ সরল মুসলিম উদ্দিনের কোন দোষ ছিলো না। অনলাইনে জুয়া খেলা দ্বন্দ্বের মিমাংসায় বসা সালিশি বৈঠক শেষে বাড়ি ফিরছিল তিনি। মাটিকাটা ব্রিজপাড় বাজারে আসলে পূর্ব শক্রতার জেরে পরিকল্পিতভাবে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আর এ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে একাধিক বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন তারা। হত্যা মামলায় জড়িত আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে ভূঞাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামুন জানান, মুসলিম হত্যাকান্ডের ঘটনায় নাম উল্লেখিত ১৫ আসামির মধ্যে এ পর্যন্ত তিনজন আসামি গ্রেফতার করা হয়েছে। তারমধ্যে- মামলার ৩ নম্বর আসামি মর্তুজ আলী মন্ডল, ৫ নম্বর আব্দুল হালিম ও ৬ নম্বর শামীম মন্ডল। তাদের টাঙ্গাইল আদালতে প্রেরণ করা হয়। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।

গত ৪ অক্টোবর বিকালে উপজেলার মাটিকাটা এলাকার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মরহুম রমজান আলীর বাড়িতে সালিশ শেষে ফেরার পথে মাটিকাটা ব্রিজপাড়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মুসলিম উদ্দিনের ওপর হামলা চালায় সুজন, রাকিব, মর্তুজ ও তার সহযোগীরা। হামলায় নিহত হন মুসলিম। আহত হন মুসলিমের বাবাসহ ৬ জন। পরে ঘটনাস্থল থেকে তাৎক্ষণিক এজাহার ভুক্ত আসামি হালিম নামে একজনকে আটক করে পুলিশ।

এ ঘটনায় গত ৬ অক্টোবর মুসলিম উদ্দিনের ভাই মুসা বাদী হয়ে ভূঞাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে সুজনকে প্রধান আসামি করে তার বাবা মর্তুজ আলী মন্ডল (৫২) ও সুজনের বোন জামাই রাকিব (২৫) সহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১০/১৬ অজ্ঞাতদের নামে এই মামলা হয়। মুসলিম উদ্দিন উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের মাটিকাটা গ্রামের জহেরের ছেলে। তিনি বালু ও গাছ কেনা-বেচার ব্যবসা করতেন।

|